লোকসভা নির্বাচনের প্রাকলগ্নে শক্তিবৃদ্ধি ঘটল তৃণমূলের। পাশাপাশি, অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পদযাত্রা করে এলাকার তৃণমূল নেতাদের নাম করে ‘সন্দেশখালির মতো সোজা করার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সকালে পাল্টা সভা করে তার জবাব দিল তৃণমূল। জবাব, পাল্টা জবাবে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের নির্বাচনী প্রচারের আবহ। একই দিনে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন অন্তত ২৫০ বিজেপি কর্মী, সমর্থক। বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা, মারধরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে পদযাত্রা ও সভা করেন শুভেন্দু। বিকেল ৪টে নাগাদ ক্যানিংয়ে এসে হাসপাতাল মোড় থেকে যোগ দেন পদযাত্রায়। ক্যানিং বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাসের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মিছিলে যেতে যেতে সে দিকে আঙুল দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সন্দেশখালির মতো সোজা করব।” তার পর সভা করেন। শুভেন্দু সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানান ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সওকাত মোল্লা, প্রমুখের দিকে।
ঘাসফুল শিবিরের দাবি, সেই কটূক্তিরই প্রতিবাদ করা হয়েছে। বুধবার সকালে ক্যানিং শহরে সওকাত, পরেশ, জয়নগর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল ও সভা করেন। সেই সভা থেকে শুভেন্দুকে একের পর এক আক্রমণ শানান তৃণমূল নেতৃত্ব। সওকাত বলেন, ‘‘গতকাল এখানে একটি যাত্রাপালা ছিল। সেই যাত্রাপালার নাম বিজেপির বিসর্জন। ক্যানিংয়ের মানুষ তা দেখেছেন। ওই পালার নায়ক জয়নগরের বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারী এবং খলনায়কের ভূমিকায় ছিলেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। খলনায়ক হুঙ্কার দিয়েছেন যে, আমাকে আর পরেশরামকে জেলে ঢোকাবেন। আমি বলি, জেলটা কি শিশির অধিকারী তৈরি করে দিয়েছেন যে, যখন খুশি যাকে তাকে জেলে পোরা যাবে! আমাকে তো ছেড়েই দিন, আমি বলছি, যদি শুভেন্দুর হিম্মত থাকে তাহলে পরেশরাম দাসের গায়ে হাত দিক।’’ এদিন বিজেপি ছেড়ে বহু নেতা, কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁদের হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে দেন সওকত।