প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় দাঁড়িয়ে বেশ বড় মুখ করেই বলেছেন, ‘আব কে বার ৪০০ পার’। বাস্তব ছবি কিন্তু উল্টো। বিজেপি সূত্রেই জানা গিয়েছে, দেশের একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়েছিল পদ্মশিবির। সেই সমীক্ষার রিপোর্টেই তুলে ধরা হয়েছে, দেশজুড়ে ১২০টি আসন হারাতে চলেছে বিজেপি।
শুধু তাই নয়, সমীক্ষাতে এটাও বলা হয়েছে, দেশে তৈরি হওয়া INDIA জোট যদি বিজেপিকে সংঘবদ্ধ ভাবে কড়া লড়াই দিতে পারে তাহলে, সেই আসন হারার সংখ্যা ১৫০’রও বেশি হতে পারে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে বাংলায় বিজেপি উনিশের তুলনায় ১০টি আসন কম পাবে। অর্থাৎ এ রাজ্যে বিজেপির সর্বোচ্চ আসন প্রাপ্তির সম্ভাবনা মাত্র ৮।
সূত্রে জানা গিয়েছে, সমীক্ষায় যে সব রাজ্যে বিজেপি আসন কমবে বলে তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে বাংলা ছাড়াও আছে ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, অসম, মায় নরেন্দ্র মোদীর গুজরাতও। ওই তালিকায় থাকছে এনডিএ শাসিত বিহার, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রও। তালিকায় থাকছে বিরোধী শাসিত কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড এবং দিল্লিও।
সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪’র ভোটে বিজেপি বিহার, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ১৫টি করে মোট ৪৫টি আসন হারাতে চলেছে। মহারাষ্ট্র আর বাংলা থেকে ১০টি করে মোট ২০টি আসন হারাতে চলেছে। রাজস্থান থেকে ৮টি, ঝাড়খণ্ড থেকে ৬টি, ছত্তিশগড় থেকে ৫টি, হরিয়ানা থেকেও ৫টি, অসম থেকে ৪টি, দিল্লি থেকেও ৪টি আসন হারাতে চলেছে বিজেপি। গুজরাতে তাঁরা হারতে পারে ২টি আসন। বাদবাকি দেশ থেকে তা৬রা হারাতে চলেছে আরও ২১টি আসন। সব মিলিয়ে ১২০। সমীক্ষার হিসাব সত্যি হলে বিজেপিকে শতাব্দীর সর্ববৃহৎ হারের সন্মুখীন হতে হবে এবং এক্ষেত্রে এনডিএ ১৮০টির বেশি আসন পাবে না।