সময় অনেক ক্ষতের ওপর প্রলেপ দিয়ে দিতে পারে। সন্দেশখালিতেও দিচ্ছে। ফের তৃণমূলের দিকেই ঝুঁকছেন সন্দেশখালির আন্দোলনকারীরা। এই বদল এখন খালি চোখেই সন্দেশখালিতে দেখা যাচ্ছে।
সোমবার সন্দেশখালির দক্ষিণদাঁড়ির জঙ্গল এলাকায় ভোটের প্রচারে যান স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাত ও তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক সহ দলের কয়েকজন কর্মী। তাঁরা সেখানে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদী মহিলারা এসে ফুলের মালা পরিয়ে বিধায়ক সহ তৃণমূল কর্মীদের অভ্যর্থনা জানান। তারপর সবুজ আবির উড়িয়ে হোলির উৎসবে মেতে ওঠেন।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূল নেতৃত্ব বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কার কী সমস্যা তা জানার চেষ্টা করছেন। কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ডেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সন্দেশখালি জুড়ে যে অশান্তি ছড়িয়েছিল, তা যত দিন যাচ্ছে, মিইয়ে যাচ্ছে। মনোবল ভেঙে পড়েছে আন্দোলনকারীদের।
মজার কথা সন্দেশখালির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগই নেই রেখা পাত্রের, যাকে বিজেপি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামের মহিলারা। সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাত জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রত্যেক মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে সব সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমরা। ভুল বুঝে বেশ কিছু মহিলা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। আমরা তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। যে সব নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ফলে পুনরায় আন্দোলনকারীরা আমাদের পক্ষে ফিরে এসেছেন।’