মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দেয় বিজেপি। বরাবরই এই অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দেশের তামাম বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্রমশই বাড়ছে কেন্দ্রের সেই ‘এজেন্সি রাজনীতি’। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের হয়রান করছে এবং আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচারে এর প্রভাব পড়ছে বলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে সোমবার নালিশ জানিয়ে এল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, দোলা সেন এবং সাকেত গোখেল। তাঁরা সোমবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করেন এবং একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তাঁরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারের কথা তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া আরও সাতটি ঘটনার তালিকাও তুলে ধরেছেন যেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সিবিআই, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং আয়কর বিভাগ (আইটি) তৃণমূল সংসদ, বিধায়ক বা কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ করেছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও তৃণমূলের তরফে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। সোমবার ফের চিঠি দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এটি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আজ আমরা আপনাকে লিখছি যে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন বিভাগ এবং সংস্থা সারা দেশ জুড়ে বিরোধী দলগুলির নেতা-কর্মীদের হয়রান করছে। জনাদেশের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার এ হেন পদক্ষেপের ফলে তাদের নির্বাচনী প্রতিনিধিরা নির্বাচনের দৌড়ে অনেক পিছিয়ে পড়ছেন। এ সব কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কেন্দ্রীয় সরকার নিজের স্বার্থ চরিতার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিভাগকে ব্যবহার করছে।’