মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দেয় বিজেপি। বরাবরই এই অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দেশের তামাম বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্রমশই বাড়ছে কেন্দ্রের সেই ‘এজেন্সি রাজনীতি’। যার ফলস্বরূপ সম্প্রতি আয়কর দফতরের জোড়া নোটিস পেয়েছে কংগ্রেস। অঙ্কটা ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। হাত শিবিরের দাবি, ভোটের সময়ে যাতে দল কোনও টাকা খরচ করতে না পারে তার জন্যই ষড়যন্ত্র করে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আয়কর দফতরের বক্তব্যে চাপমুক্ত হল তারা। আয়কর দফতর জানিয়েছে, তারা এখনই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেবে না।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এটা যেহেতু নির্বাচনের সময় তাই আয়কর দফতর চায় না কংগ্রেসের কোনও সমস্যা হোক। সেই কারণে তারা আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেবে না। শীর্ষ আদালতেও এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুলাই হতে চলেছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, পর পর কয়েকটি অর্থবর্ষে ইলেক্টোরাল বন্ড বা অন্য খাত থেকে যে আয় হয়েছে কংগ্রেসের তাতে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ২০১৭-১৮ এবং ২০২০-২১ সমীক্ষা বছর তথা অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের জন্য জরিমানা ও তার উপর সুদ বাবদ কংগ্রেসকে ১,৭০০ কোটি টাকা করের নোটিস ধরিয়েছিল আয়কর দফতর। রবিবার নতুন করে আরও এক নোটিস ধরানো হয় তাঁদের।