রবিবার মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়েই তছনছ হয়ে গেল জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকা। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশো মানুষ, তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাতেই উত্তরবঙ্গে পাড়ি দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন। এরপর এখান থেকে সড়কপথে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রাতেই হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখার পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সোমবার দুপুরে কপ্টারে করে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারে। সেখানেও রবিবারের ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা। বিশেষত ১ নং ব্লকের তপসিখাতা এলাকা। সেসব পরিদর্শন করে কথা বলেছেন সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে।
এরপর এলাকাবাসীদের সব অভাব, অভিযোগ শুনে আশ্বাস দিয়েছেন। এর পরই তাঁর বক্তব্য, ”বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসন ভালো কাজ করছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ, খাবারের ব্যবস্থা করেছে। যদিও এখন ভোটের সময়, আদর্শ আচরণবিধি লাগু রয়েছে। কিন্তু এখন বিপদের সময় কি আর আচরণবিধি মেনে চলা যায়?” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার এখানে উপস্থিত। মানুষের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে আমি প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাব, যাতে তারা একটি স্বাধীন সমীক্ষা করে। কত টাকার ঘর-বাড় নষ্ট হয়েছে, তার হিসাব বের করতে হবে। যাঁদের কাছে একটা বাসন, কিংবা একটা পোশাক পর্যন্ত নেই, গতকাল থেকেই প্রশাসন তাঁদের সহযোগিতা করছে।” যদি কেউ বিপর্যয়ের কবলে পড়েন, তাহলে তাঁকে সাহায্য করা এবং তাঁর জন্য কাজ করা তাঁদের কর্তব্য বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।