গত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে গিয়েছিল গুজরাত টাইটান্স। রবিবার ঘরের মাঠে ফিরতেই জয়ের পথে ফিরল তারা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সহজেই ৭ উইকেটে হারালেন শুভমন গিলরা।হটস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। শুরুটা ভাল করেছিলেন দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও ট্রেভিস হেড। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। হায়দরাবাদকে প্রথম ধাক্কা দেন আজ়মাতুল্লা ওমরজাই। ১৬ রানের মাথায় মায়াঙ্ককে আউট করেন তিনি। অভিষেক শর্মা এই ম্যাচেও শুরু থেকে বড় শট মারছিলেন। পাওয়ার প্লে-র পরে প্রথম ওভারেই হেডকে আউট করে নুর আহমেদ। ১৯ রান করেন হেড। অভিষেককে ২৯ রানে আউট করে হায়দরাবাদকে বড় ধাক্কা দেন মোহিত শর্মা। মাঝের ওভারে ভাল বল করে গুজরাত। আইডেন মার্করামকে আউট করেন উমেশ যাদব। হেনরিখ ক্লাসেন ভাল খেলছিলেন। ২৪ রানের মাথায় তাঁকে আউট করেন রশিদ খান। শাহবাজ আহমেদ ও আব্দুল সামাদ হায়দরাবাদের রান ১৫০ পার করান। শাহবাজ ২২ ও সামাদ ২৯ রান করেন। শূন্য রানে আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর।
এরপর শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে হায়দরাবাদ। গুজরাতের বোলারদের মধ্যে সব থেকে সফল মোহিত। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। ওমরজাই, উমেশ, রশিদ ও নুর ১টি করে উইকেট নেন রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বড় শট খেলা শুরু করেন ঋদ্ধিমান সাহা। হায়দরাবাদের বোলারদের থিতু হওয়ার সময় দেননি তিনি। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে রান করছিলেন ঋদ্ধি। কিন্তু বেশি ক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি তিনি। ২৫ রান করে শাহবাজ আহমেদের বলে আউট হন। অধিনায়ক শুভমন করেন ৩৬ রান। কিন্তু পুরনো মেজাজে দেখা যায়নি তাঁকে। মায়াঙ্ক মারকান্ডের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন গুজরাতের অধিনায়ক। দলকে জয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে থুলা নেন সাই সুদর্শন ও ডেভিড মিলার। চলতি মরসুমে গুজরাতের সব থেকে ধারাবাহিক ব্যাটার সুদর্শন। মিলারকেও এই ম্যাচে সাবলীল দেখাল। কোনও ঝুঁকি নিলেন না তাঁরা। খারাপ বলে মারলেন। ভাল বলে দৌড়ে রান নিলেন। ৪৫ রান করে সুদর্শন আউট হলেও মিলার শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন। মাঝের ওভারে উইকেট তুলতে না পারার খেসারত দিতে হল হায়দরাবাদকে। শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাত। মিলার ৪৪ ও বিজয় শঙ্কর ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মোহিত শর্মাকে।