মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দেয় বিজেপি। বরাবরই এই অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দেশের তামাম বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্রমশই বাড়ছে কেন্দ্রের সেই ‘এজেন্সি রাজনীতি’। যার ফলস্বরূপ গ্রেফতার হয়েছেন একের পর এক অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এর বিরুদ্ধে ফের একবার সুর চড়াল বিরোধীরা। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিশাল সভার আয়োজন করেছিল ইন্ডিয়া জোট। সেই সভা থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির নিন্দার পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্র নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী জোটের নেতারা।
এই জনসমাবেশ থেকেই পাঁচটি দাবি তুলেছে ইন্ডিয়া জোট, যা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে জানাবেন তারা। রবিবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানান, ইন্ডিয়া জোটের পাঁচটি দাবি রয়েছে, যা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। এরমধ্যে প্রধান হল নির্বাচনের মুখে জোর করে বিরোধী দলগুলির অর্থ বাজেয়াপ্ত করা। কংগ্রেসের আয়কর নোটিস পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না করেই, কেন্দ্রীয় সরকার ইডি, সিবিআই, আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে বলেই দাবি প্রিয়াঙ্কার। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযান বন্ধ করার দাবি রাখা হবে নির্বাচন কমিশনের সামনে, এমনটাই জানান তিনি। বিরোধী জোটের দাবি, ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তোলাবাজি করেছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বিশেষ তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের দাবিও জানানো হবে নির্বাচন কমিশনে।