রাত জেগে জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও কথা বলেন। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির যে যে এলাকা রবিবারের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে সব জায়গায় রাতেই গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিজে খতিয়ে দেখেছেন। পরিস্থিতির তদারকি করেছেন। সব মিটিয়ে তাঁর হোটেলে ফিরতে রাত আড়াইটে বেজে গিয়েছিল। আপাতত মালবাজারের চালসার একটি হোটেলে আছেন মমতা।
রবিবার আচমকা ঝড়বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি শহর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাতে জানান মুখ্যমন্ত্রী। যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা। এক জন গোসালা মোড়ে এবং অন্য জন সেন পাড়ায় থাকতেন। আরও দু’জন ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। সকলের বাড়িতেই রাতে গিয়েছিলেন মমতা। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ঝড়ের তাণ্ডবে বহু মানুষ জখম হয়েছেন। আহতের সংখ্যা শতাধিক। তাঁরা কেউ কেউ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কয়েক জনকে ভর্তি করানো হয়েছে শিলিগুড়ির হাসপাতালে। রাতেই হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা।
রবিবার রাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে মমতা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পাশে আছে। এখন যেহেতু এমসিসি চলছে, তাই প্রশাসন যা করার করবে। একটা বাচ্চাকে নেওটিয়া হাসপাতালে আনা হচ্ছে, ওটা কাল বিকেলে অভিষেক এসে দেখে নেবে। প্রশাসন যা করার করবে। সবটা এখানে বলছি না।’’ রাতে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রশাসন যা করার করছে। ত্রাণ সরবরাহের কাজ চলছে। এ ছাড়া, জেলা ও ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, ডিএমজি এবং কুইক রেসপন্স টিম বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাত জেগে সেই কাজের তদারকিও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।