লোকসভা নির্বাচনের প্রাকলগ্নে আরও একবার মোদী সরকার ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কড়া আক্রমণে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানালেন, “আর মেঘের আড়াল থেকে নয়, ময়দানে নামান কেন্দ্রীয় এজেন্সির ডিরেক্টরদের।” শনিবার কুলপির সভা থেকে কটাক্ষের সুরেই অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী পাচ্ছে না! বাংলার চার কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি। আমি বলব, মেঘের আড়াল থেকে খেলে লাভ নেই। ইডি, সিবিআই, এনআইএ এবং ইনকাম ট্যাক্সের ডিরেক্টরকে ওই চার কেন্দ্রে প্রার্থী কর দিন। ওঁরা অনেক তল্পিবাহকতা করেছেন। মেঘনাদের মতো মেঘের আড়ালে না থেকে এ বার আসুন জনতার দরবারে, লড়াই হোক।’’ উল্লেখ্য, বিজেপি এখনও বাংলার চার কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। সেগুলি হল আসানসোল, ঝাড়গ্রাম ,ডায়মন্ড হারবার, বীরভূম। এবার মথুরাপুর লোকসভায় জোড়াফুল শিবির প্রার্থী করেছে বাপি হালদারকে। কুলপির সভা থেকে মথুরাপুরের ব্যবধান বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক। ঊনিশে তিন লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন জাটুয়া। এবার ব্যবধান সাড়ে তিন লক্ষ করার ডাক দিয়েছেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি মথুরাপুর লোকসভার উন্নয়নের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। কথা দিয়েছেন, ডায়মন্ড হারবারের মতো করেই উন্নয়ন করবেন মথুরাপুরেও।
পাশাপাশি, বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে অভিষেক বলেন, “বিজেপি বলছে, ওরা ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়িয়ে তিন হাজার করে দেবে। বিজেপি দেশের ২৭টা রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। একটা রাজ্যেও করেছে? বিজেপি বলুক গ্যাস দেবে বিনামূল্যে! এই ঘোষণা করতে পারলে ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।” কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে কথোপকথনে মোদী ইডির উদ্ধার করা টাকা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শনিবার তাঁকেও নিশানা করেন অভিষেক। অভিষেকের কথায়, “বিজেপির প্রার্থীকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ইডি যে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে, তা মানুষের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। একই কথা তিনি বলেছেন তামিলনাড়ুর এক প্রার্থীকেও। আবার একটা ভোট এসেছে, আাবার একটা জুমলা নিয়ে হাজির হয়েছে! সারদার তদন্ত তো কবে থেকে করছে! একটা টাকাও মানুষকে ফেরত দিয়েছে?” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “একই টাকা প্রধানমন্ত্রী বাংলায় ফেরত দেবেন, তামিলনাড়ুতে ফেরত দেবেন, কেরলেও ফেরত দেবেন। সারা ভারতবর্ষে ফেরত দেবেন। গোটা দেশের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। ৩ হাজার কোটি টাকা ফেরত দিলে, প্রত্যেকে পাবেন ২১ টাকা ৩০ পয়সা। ২২ টাকাই ধরুন। কত বড় দুনম্বরী ভাবুন! ২২ টাকা দিয়ে ৫ বছরের জন্য ভোট চাইছেন”, মোদীকে একহাত নিয়ে বক্তব্য তাঁর।