আজ থেকে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার নদিয়ায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে জনসভা করেন তিনি। সেখানে আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন, বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়াই করছে তৃণমূল। মমতার মতে, সিপিএম এবং কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের নামে লড়লেও, ওরা আসলে বিজেপির সহযোগী। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গেও যে তৃণমূলের সম্পর্ক পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি, সেটাও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সভা থেকেই তিনি বললেন, “ইন্ডিয়া জোট আমি তৈরি করেছি। নামটাও আমার দেওয়া। ভোটের পর ওটা দেখে নেব।” রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভোটের আগে আসন সমঝোতা না হলেও প্রয়োজনে ভোটের পর যে তিনি ফের ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিতে পারেন, সে ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন মমতা। কৃষ্ণনগরের সভায় তিনি বলেছেন, “সিপিএম-কংগ্রেস এখানে ইন্ডিয়া নামে লড়ছে। এখানে তো জোটই হয়নি। এখানে তো ঘোঁট হয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এক হয়ে লড়ছে। আর এক দিকে আমরা একা লড়ছি।”
ফলত, মমতা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, যারা বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ নামে লড়ছে, প্রকৃত ইন্ডিয়া জোট তারা নয়। বাংলায় বিজেপির আসল বিরোধী তৃণমূলই। দরকারে ভোটের পর যে আবার ইন্ডিয়া জোটে সরাসরি তিনি অংশ নিতে পারেন, সেটাও বুঝিয়ে দিলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর সাফ কথা, “কংগ্রেস-সিপিএম যদি বলে আমরা ইন্ডিয়া জোট, তাহলে ওদের বলুন আপনারা দিল্লীতে গিয়ে লড়ুন। অন্য জায়গায় গিয়ে লড়ুন। বাংলায় মমতার দিকে তাকাতে আসবেন না।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। আরেকটা ল্যাজুড় পার্টি হয়েছে, মুসলিম পার্টি। ওদের ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। আর বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানেও বিজেপিকে ভোট দেওয়া। বিজেপি একটা দাঙ্গাবাজ দল। তাঁদের সঙ্গ দিচ্ছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। নিজের সর্বনাশ নিজে না করতে চাইলে ওদের ভোট দেবে না। যদি সিএএ না করতে হয়, যদি এনআরসি না করতে হয়, যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে চান, তাহলে তৃণমূলকে ভোট দিন”, স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল নেত্রীর।