আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনীতির আবহ। শেষলগ্নের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। আজ, রবিবার মোদী সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে রামলীলা ময়দানে ঐক্যবদ্ধ সমাবেশ করছে বিরোধী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। সেই সমাবেশের স্লোগান, ‘স্বৈরাচারী হটাও, গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাও’। সম্প্রতি আপের শীর্ষ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর ইন্ডিয়া জোটের তৎপরতা ও সক্রিয়তা বেড়েছে। ৪৯ বছর আগে বিরোধী জোটের সমাবেশ হয়েছিল এই রামলীলা ময়দানেই। সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। জনসঙ্ঘের দুই নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আদবানি ছিলেন সেই সমাবেশে। আজ একই ময়দানে বাজপেয়ী-আদবানির বিজেপির বিরুদ্ধে উঠবে স্লোগান। জানা গিয়েছে, অসুস্থ অবস্থাতেও রবিবারের সমাবেশে হাজির থাকবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
এদিন কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, আপ, সিপিএম, সিপিআই, এনসিপি (শারদ পাওয়ার শিবির), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, শিবসেনা (উদ্ধব শিবির), আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, পিডিপির মতো বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীরা রামলীলা ময়দানে উপস্থিত থাকবেন। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরই বিরোধীরা সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে। জানা যাচ্ছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার, নির্বাচনী বন্ডে বিজেপির দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয়ে সমাবেশ থেকে সরব হবে ‘ইন্ডিয়া’। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, “স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বানে ইন্ডিয়ার সমাবেশ। একজন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা ইস্যু নয়। ইন্ডিয়া জোট দেশকে জানাতে চায় যে, এবার ভোটে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আজ থেকে শুরু হবে গণতন্ত্র বাঁচাও লড়াই। দেশবাসী ইন্ডিয়ার সঙ্গে আছে।” তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, দেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ তাঁদের দল।