চিন যখন অরুণাচল প্রদেশকে নিজের ভূখণ্ড বলে আগ্রাসী হচ্ছে তখন অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। এখন এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর মতোই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন বিজেপির অন্তত আরও পাঁচজন বিধায়ক। তাই বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাওয়াং জেলার মুক্তো বিধানসভা কেন্দ্রে অন্য কোনও প্রার্থী পেমার বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। সুতরাং তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে না। অথচ জয় আসছে।
এদিকে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে উঠেছে বিজেপি নেতাদের। আর তাই রাজ্যের বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালেই পেমার দলের এক নেতার বিতর্কিত মন্তব্য আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। তার উপর ওই মন্তব্যের সমর্থনে পেমার মন্তব্য বিজেপিকে বেজায় অস্বস্তিতে ফেলেছে। অরুণাচলের লেপারাদা জেলার বাসার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ন্যাবি দির্চির বিরুদ্ধে তাই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাল ওই ভাষণে ন্যাবিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, যেহেতু বিজেপি সরকার তাঁকে প্রার্থী করেছে, তাই সব সরকারি কর্মী, গ্রামপ্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্য, যাঁরা সরকারের থেকে বেতন পান, তাঁদের উচিত তাঁকেই ভোট দেওয়া। এই মন্তব্য নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
অন্যদিকে এমন মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছেন বিরোধীরা। আর সেখানে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ন্যাবি হুঁশিয়ারিও দেন, ‘বিজেপির গুপ্তচররা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। যাঁরা নির্দেশ মেনে নিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেবেন না, তাঁদের কিন্তু শনাক্ত করা হবে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমায় দোষ দেবেন না।’ এটা সরাসরি হুমকি দিয়ে ভোট চাওয়ার সামিল। তাই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এই প্রার্থী ন্যাবির পর মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর বিরুদ্ধেও নির্বাচনবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। কারণ তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘যদি ন্যাবি হেরে যান তাহলে আগামী পাঁচ বছর আমি এখানে পা রাখব না।’ এরপরই এসব মন্তব্য নিয়ে নালিশ জানানো হয়। আর জেলা নির্বাচনী আধিকারিক সবটা দেখে জানান, নির্বাচনবিধি সংক্রান্ত নোডাল অফিসার বিষয়টির তদন্ত করছেন।