দেশে কর্মহীনদের মধ্যে ৮৩ শতাংশই হল যুবসমাজ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের ২০২৪ সালের রিপোর্টে এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বেকারি দূরীকরণ, আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে গালভরা প্রচার করছেন লোকসভা ভোটের আগে, সেই সময় এই রিপোর্ট দেশের কর্মহীনতার কঙ্কালসার চেহারাটি তুলে ধরল। সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কর্মহীনদের মধ্যে শিক্ষিত যুবসমাজের সংখ্যা হু-হু করে বেড়েছে। ২০০০ সালে শিক্ষিত যুবকদের ৫৪ শতাংশ ছিলেন কর্মহীন। ২০২২ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ৬৬ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন এবং ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট যৌথভাবে সমীক্ষাটি চালায়। চিফ ইকনমিক অ্যাডভাইজার ভি অনন্ত নাগেশ্বরন ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪ প্রকাশ করেন। তাতে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শিক্ষিত কর্মহীন যুবদের মধ্যে পুরুষের (৬২.২ শতাংশ) তুলনায় মেয়েদের (৭৬.৭ শতাংশ) সংখ্যা বেশি।
রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে, ভারতে বেকারিত্ব ক্রমবর্ধমান সে বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। বিশেষত যুব সমাজ শিক্ষিত হয়েও কর্মহীন রয়েছে। শহর এলাকায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা গ্রামীণ এলাকার তুলনায় বেশি। গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কর্মরত এবং কর্মহীন যুবদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছে। কিন্তু তা কমেছে কোভিড অতিমারির সময়। ২০০০ সালে কর্মরত যুবদের অর্ধেক স্বনিযুক্ত ছিলেন। মাত্র ১৩ শতাংশ চাকরি করতেন এবং ৩৭ শতাংশ অস্থায়ী কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ২০১২তে সেটা ছিল ৪৬, ২১, ৩৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে ৪২, ৩২, ২৬ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৪৭, ২৮ ও ২৫ শতাংশ হয়।