প্রবল চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমে। শ্রমিকদের মজুরি ঘিরে চলল বিবাদ। যার জেরে বীরভূমের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেতাকে মেরে পাথর খাদানের ৬০ ফুট নীচে পুুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পাথর খাদান মালিকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত পাথর খাদান মালিক তারক টুডুকে আদালতে হাজির করিয়ে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তারই ভিত্তিতে মহম্মদবাজারের হরিণ সিংয়া গ্রামের কাছে নিখোঁজ তৃণমূল নেতার খোঁজে জেসিবি দিয়ে পাথর খোঁড়ার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিরুদ্দেশ তৃণমূলের বীরভূমের শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান।
প্রসঙ্গত, সালাউদ্দিনের মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, সেদিন বিকেলে প্রথমে মহম্মদ বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। শেষ লোকেশনে দেখা যায় হরিণ সিংয়ার সংশ্লিষ্ট পাথর খাদানে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হরিণ সিংয়ার সংশ্লিষ্ট পাথর খাদানের শ্রমিকদের মজুরি ঘিরে সম্প্রতি মালিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল সালাউদ্দিনের। সেই সূত্রেই ওই পাথর খাদানের মালিক তারক টুডুকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে ধৃত খুনের কথা স্বীকার করে জানায়, প্রমাণ লোপাটের জন্য খাদানের ৬০ ফুট নীচে পুঁতে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতাকে। এরপরই জেসিবি দিয়ে খাদানের সংশ্লিষ্ট এলাকার পাথর তোলার কাজ শুরু হয়েছে। যেভাবে খাদানের গভীরে দেহটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে, তাতে দেহ উদ্ধারে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে রাতেও খোঁজার কাজ চালিয়ে যেতে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই।