এবার তৃণমূল কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। উত্তর ২৪ পরগনার ধরমপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। রাস্তায় ঘিরে ধরে নেশার দ্রব্য চান কয়েকজন মদ্যপ বিজেপি কর্মী। তা দিতে অস্বীকার করেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দুখিরাম মণ্ডল। তারপরই তাঁকে ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়। বাদ যাননি মহিলারাও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয় বুথ মেম্বার সুরজিৎ মণ্ডলকেও নিগ্রহ করা হয়। গাইঘাটা থানায় জানানো হয় অভিযোগ।
এপ্রসঙ্গে দুখিরামবাবুর ভাই শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, “আমি নদীতে স্নান করতে যাওয়ার সময় দেখি দাদাকে রাস্তায় ফেলে মারছে ওরা। দাদার কাছে ওরা নেশার দ্রব্য চায়। তা দিতে না চাইলে মারধর করে। এমনকী ওই যুবকদের বাড়ির লোকরাও দাঁড়িয়ে থেকে দেখছিল। আমি ও আমার ভাইঝিরা আটকাতে গেলে আমাদেরকে মারধর করা হয়।” সরব হন স্থানীয় বুথ সভাপতি নিমাই ঘোষ। “পঞ্চায়েত ভোট থেকে ওরা এলাকায় গণ্ডগোল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা মারের বদলে মার চাই না। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিচ্ছে। তবে আমাদের কর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন”, জানান তিনি।