বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিগত ১০ বছরে বেকারত্ব ইস্যুতে বারবারই বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। এবার লোকসভা ভোটের মুখে তাদের চূড়ান্ত অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন খোদ কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ। তিনি বলেন, বেকারত্বের মতো সমস্ত সামাজিক ও আর্থিক সমস্যার সমাধান করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বুধবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে শুরু করে প্রায় পুরো বিরোধী শিবির। রাহুল গান্ধী তাঁর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ থেকেই বেকারত্বকে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে তুলে ধরেছিলেন। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমি গত কালই প্রশ্ন তুলেছিলাম, মোদী সরকারের কাছে কি কাজের সুযোগ তৈরির কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? আজ সরকারের উত্তর এসে গিয়েছে, নেই।’
নাগেশ্বরণ মঙ্গলবার আইএলও এবং আইএইচডি-র তৈরি ভারতের কর্মসংস্থান নিয়ে ‘ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে বেকারদের মধ্যে এখন ৮৩ শতাংশই তরুণ-তরুণী বা যুবক-যুবতী। এই বেকারদের সিংহভাগই পড়াশোনা-জানা বা শিক্ষিত। রিপোর্ট অনুযায়ী, বেকার তরুণদের মধ্যে শিক্ষিতদের ভাগ ২০০০ সালে ছিল ৩৫.২ শতাংশ। কিন্তু ২০২২ সালেই তা বেড়ে ৬৫.৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।
এই রিপোর্ট প্রকাশের পরেই নাগেশ্বরণ বলেন, সরকার সমস্ত সামাজিক ও আর্থিক চ্যালেঞ্জের সমাধান করতে পারে, এটা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। তিনি যুক্তি দেন, বেকারত্বের মতো সমস্যা সমাধানের থেকে রোগ নির্ণয় করা সহজ। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের বক্তব্য, ‘মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন। এটাই যদি বিজেপি সরকারের অবস্থান হয়, তা হলে বিজেপিকে বলতে হয়, গদি খালি করো।’