‘ফেল’ করেছে ‘মোদী গ্যারান্টি’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁরা পিএফের আওতায় থাকা পেনশনভোগীদের পেনশনের অঙ্ক বাড়াবেন। এমনটাই দাবি করেন পেনশনভোগীরা। কিন্তু সেই কথা রাখেননি তিনি। আশা ছিল, লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে পেনশনভোগীদের দাবি মেনে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। তাই সরাসরি বিজেপির বিরোধিতায় না গেলেও, আসন্ন ভোটপর্বে নিজেদের বঞ্চনার কথা দেশজুড়ে তুলে ধরবেন প্রবীণরা। সেই প্রস্তুতি তাঁরা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, তারা ইতিমধ্যেই পিএফের ন্যূনতম পেনশন এক হাজার টাকা করেছে। যদিও সেই টাকা পান না প্রায় ৩০ লক্ষ বয়স্ক মানুষ। এই সামান্য টাকায় যে কোনওভাবেই সংসার চালানো যায় না, তা সকলেই জানেন। তাই পেনশনের অঙ্ক মাসিক সাড়ে সাত হাজার টাকা করা, তার সঙ্গে ডিএ যুক্ত করা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ সহ অন্য কিছু দাবিতে আন্দোলন করছে ইপিএস-৯৫ পেনশনভোগীদের ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটি। সংগঠনের কর্তারা জানাচ্ছেন, মহারাষ্ট্রের বুলদানায় প্রায় ছ’বছর ধরে রিলে অনশন চলছে। কিন্তু তাকেও আমল দেয়নি কেন্দ্র। তাই এবার ভোটের সময়ই সাধারণ মানুষকে বিষয়টি সম্পর্কে সজাগ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রবীণরা। ঠিক কী করবেন তাঁরা?
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তপন দত্ত বলেন, আমরা গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এবং হিন্দিতে পোস্টার দেব। তার মাধ্যমে কিছু বার্তা দেওয়া হবে। তার মূল বিষয়, ভর্তুকি এবং ঋণ মকুব শুধুমাত্র কর্পোরেট সংস্থাগুলির জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে। মোটা অঙ্কের পেনশন পাবেন কেবল রাজনৈতিক নেতারাই। বাকিদের ‘আত্মনির্ভর’ হতে হবে। অর্থাৎ বৃদ্ধ বয়সে যেখানে সামাজিক সুরক্ষা প্রয়োজন লক্ষ লক্ষ নাগরিকের, সেখানে তাঁদের দেখার কেউ নেই। আমরা এই ধরনের পোস্টার-ব্যানারে ছয়লাপ করব সর্বত্র, যাতে সাধারণ মানুষ আমাদের যন্ত্রণার কথা ভোট দেওয়ার আগে বুঝতে পারেন।