প্যারোডি। এই নামটার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিভিন্ন প্যারোডি ভিডিও দেখে দেখে অভ্যেস করে ফেলেছে নতুন প্রজন্ম। স্পষ্টত বলা যায়, বিষয় যাই হোক না কেন, প্যারোডির একটা প্রভাব যুবসমাজের ওপর পড়েই। তাই মজা করা হলেও শালীনতা বোধ রাখাটা জরুরি। আর বিজেপির বিরুদ্ধে অশালীন হওয়ারই অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা।
সামনেই লোকসভা ভোট। বিজেপির বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া ইন্ডিয়া জোটের অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সকলেই। ‘ছিল রুমাল, হল বিড়াল’-এর মতো পরিণতি হয়েছে তাঁদের। সুস্পষ্টভাবে কোনও রাজ্যেই জোট হয়নি কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মুখ বেছে নেওয়া তো দূর, একাধিক রাজ্যে জোটের আসনরফা নিয়ে আলোচনায় সুরাহা হয়নি। এই আবহে সাধারণ মানুষকে বার্তা দিতে প্যারোডি ভিডিওর সাহায্য নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেই ভিডিওতে মহিলাদের অপমান করা হয়েছে বলে দাবি তুলেছে বিরোধীরা।
যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা বিয়ের সাজে রয়েছে এবং তাঁর সামনে বসে বেশ কয়েকজন। তাঁদের কাউকে দেখতে লাগছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো, আবার কেউ সেজেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, লালু প্রসাদ যাদব, রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, উদ্ধব ঠাকরে, মল্লিকারজুন খারগের মতো। তাঁদের সকলের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে এই বিষয় নিয়ে যে, কে হবেন ওই মহিলার স্বামী! বিজেপির এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, কেউই সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি যে মহিলাকে কে বিয়ে করবেন। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন ছোড়া হয়েছে, যারা বিয়ের জন্য বর ঠিক করতে পারে না, তাঁরা দেশের প্রধানমন্ত্রী কী ভাবে ঠিক করবে?
বিরোধীদের বক্তব্য, এই ভিডিওতে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানকে বটেই, মহিলাদের চরম অপমান করা হয়েছে। এইভাবে এতজন মিলে একজন মহিলাকে বিয়ে করার প্রস্তাব মোটেই রুচিশীল নয়। বিজেপি আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছে যে তাঁরা মহিলাদের কোনও সম্মান দেয় না। কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথের কথায়, ”বিজেপি মহিলাদের কী চোখে দেখে তা আবার প্রমাণিত হল। একই সঙ্গে তাঁরা যে হিন্দু ধর্মের এক রীতিকেও অপমান করল সেটাও স্পষ্ট হয়েছে এই ভিডিওতে।”