বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে ‘প্রতিবাদী মুখ’ রেখা পাত্রকে। এর পিছনে তাদের উদ্দেশ্য হল, এই কেন্দ্রের মহিলা ভোটকে টেনে নিজেদের বাক্সে আনা। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য কতটা সফল হবে, তাই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দলের নেতা -কর্মীরাই।
রেখা পাত্রকে লড়াই করতে হবে লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভাজুড়ে। আর সেখানেই সংশয় বিজেপির অন্দরে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৭ লক্ষ। এর মধ্যে সংখ্যালঘু ভোটার ৫২ শতাংশ। তাছাড়া মহিলা ভোটারের সংখ্যাও যথেষ্ট। স্বাভাবিকভাবে একেবারেই ‘আনকোরা’ প্রার্থী দিয়ে কতটা বৈতরণী পার হওয়া যাবে, তা নিয়েও সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপির একটি বড় অংশ।
এক্ষেত্রে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। হোয়াটসঅ্যাপ কলে এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ‘বসিরহাট জেলা বিজেপিতে দ্বন্দ্ব যথেষ্টই রয়েছে। তবে একেবারেই গ্রামীণ মহিলাকে প্রার্থী করায় কিছুটা সমস্যা থাকবেই।’
একটা সময় জমি দখল থেকে নারী নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল সন্দেশখালির কয়েকটি গ্রাম। বিভিন্ন সময় সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে রেখাকে। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত এলাকার এমন প্রতিবাদী মুখকে হাতছাড়া করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, এক মাস ধরে তাঁকে প্রার্থী করার জন্য উঠেপড়ে লাগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রার্থী ঘোষণার সপ্তাহখানেক আগেই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে চলে যায় রাজ্য নেতৃত্ব। কলকাতায় থাকা অবস্থায় তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দিল্লি। তাই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা যায় সন্দেশখালিতে। তাঁদের বক্তব্য, ‘আমরা সবাই আন্দোলন করলাম, তাহলে রেখাকে এত গুরুত্ব দেওয়া হল কেন?’ সরব হন সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাদের একটি বড় অংশ। এলাকায় পোস্টার সেঁটে ‘বিজেপি প্রার্থী রেখাকে পছন্দ নয়’ বলেও দাবি করেন তাঁরা, চলে বিক্ষোভ। কিন্তু একদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির বদল হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকজন মঙ্গলবার ভিডিও বার্তায় জানান, ‘ভুল বুঝিয়ে রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করতে বলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’