নয়া বিতর্কের কেন্দ্রে মোদী সরকার তথা বিজেপি। যা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এবার নির্বাচনী আচরণ বিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যের ১১ লক্ষ আবাস-উপভোক্তাকে ফোন করে টোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। গ্রামীণ এলাকার আবাস (প্লাস) যোজনার কেন্দ্রীয় পোর্টালে নাম রয়েছে। তারপরও নতুন করে তাঁদেরই আবেদন করতে হবে, আর তারপরই নাকি মিলবে বকেয়া টাকা। অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপির নাম করে বলা হচ্ছে, “ফের নতুন করে অনলাইনে আবেদন করুন! বার্তা পৌঁছে যাবে মোদী সরকারের কাছে। মিলবে আপনার প্রাপ্য টাকা।” বিভিন্ন ‘কলসেন্টার’ থেকে বামা কণ্ঠে আসা ফোনগুলিতে ‘কার্যালয়’ বা ‘কার্যকর্তা’র মতো যে শব্দগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি বহুচর্চিত বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, নদীয়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ফোনবার্তা আসার খবর মিলেছে। নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হওয়ার পর এই প্রতিশ্রুতি কীভাবে বিলি করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উপভোক্তারাই। প্রতিশ্রুতি বিলি পর্বে হুগলির মগরার এক উপভোক্তা কলসেন্টারের মহিলার বিরুদ্ধে সরাসরি ‘মানুষকে ভুল বোঝানো ও ভাঁওতা দেওয়ার’ অভিযোগও করেছেন। এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেবে। বাংলার যে ১১ লক্ষ মানুষের নাম কেন্দ্রীয় পোর্টালে রয়েছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই জোড়া ঘোষণা ও পদক্ষেপের কারণে এখন চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। অগত্যা মুখ বাঁচাতে তাঁরা এখন আলাদা পথে হাঁটছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তারা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হবে নির্বাচন কমিশনকে।