ইডেনের ২২ গজে তাঁর ছক্কায় মুগ্ধ হয়েছে গোটা দেশ। পিচ বদলে আত্মবিশ্বাসী ইউসুফ পাঠান এবার ছক্কা হাঁকাতে তৈরি রাজনীতির ময়দানে। বহরমপুরে প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছেন নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন মিডল অর্ডার ব্যাটার। ‘বহিরাগত’ কটাক্ষকে ফ্রন্টফুটে খেলে হাঁকিয়েছেন লম্বা ছয়। সব মিলিয়ে ইউসুফের দাপটে অধীরগড় হিসেবে পরিচিত বহরমপুরেও রব উঠেছে ‘খেলা হবে’। শুরু থেকে বহরমপুরের পিচে ইউসুফের ব্যাটিং দেখে আশ্বস্ত দলও।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। দীর্ঘদিনের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইউসুফের লড়াইকে বেশ কঠিন হিসেবেই দেখছিল রাজনৈতিক মহল। প্রতিপক্ষকে ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে অল আউট আক্রমণে নেমেছিল কংগ্রেস। প্রচার শুরু হয়েছে, ‘বহিরাগত নয়, বহরমপুর নিজের ছেলেকে চায়’। তবে রাজনীতির মাঠে ‘নবাগত’ হলেও ক্রিকেটিয় ভঙ্গিতে সে বাউন্সার সামলে নিয়েছেন পাঠান।
পালটা জানিয়েছেন, “কে বলল আমি বহিরাগত? বাংলা আমার দ্বিতীয় ঘর। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার সময়ে এই বাংলাতেই থাকতাম। দীর্ঘদিন পরে আবার কলকাতায় ফিরেছি। আমি এখানেই থাকব।” বলা বাহুল্য ইউসুফের বার্তার পর বহিরাগত অভিযোগ কিছুটা হলেও প্রশমিত বহরমপুরে।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর কিছুটা দেরিতে মাঠে নামলেও এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার সারছেন ইউসুফ পাঠান। একেবারে ঘরের ছেলে হয়ে মিশে যাচ্ছেন স্থানীয়দের সঙ্গে। ইউসুফকে টিমে নেওয়া ও বহরমপুরের মতো কেন্দ্রে প্রার্থী করায় শুরুতে দলের মধ্যে কিছুটা কানাঘুষো চললেও তাঁর প্রচারের ধরন দেখে আশ্বস্ত তৃণমূল। ইউসুফ প্রসঙ্গে দলের পর্যবেক্ষণ, মানুষ ইউসুফকে সামনে থেকে দেখে তাঁর সঙ্গে মিশে কথা বলে মানুষ ইউসুফকে গ্রহণ করে নিয়েছে। কান্দির বিধায়ক বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার জানিয়েছেন, “বহরমপুর ছক্কা হাঁকাবে। আমরা লক্ষ্য করেছি মানুষ ভালোবেসে ইউসুফকে গ্রহণ করে নিয়েছে। মানুষ তাকে নিয়ে আপ্লুত। আমরাও আত্মবিশ্বাসী ইউসুফ বেরিয়ে যাবে।” তৃণমূলের দাবি, বহিরাগত ইস্যুতে প্রথম দিনই জবাব দিয়েছিলেন ইউসুফ। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি হচ্ছিল। কিন্তু ইউসুফ নিজের ক্যারিসমায় সেসব ঝেড়ে ফেলেছেন। মানুষও বুঝতে পারছেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছেন।