ভোট যতই এগিয়ে আসছে, আভ্যন্তরীণ কোন্দল ততই মাথাচাড়া দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে। ক্রমশই বাড়ছে বিদ্রোহ। জেতা আসন ধরে রাখা নিয়ে পদ্মশিবিরের অন্দরে মাথাচাড়া দিচ্ছে ক্ষোভ। এবার বাঁকুড়ায় বিজেপির কাঁটা হতে চলেছে গোঁজ প্রার্থী! বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসেবে ভোটে লড়তে চলেছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তী। ছাতনায় বাঁসুলি মন্দিরের সামনে রবিবার বিজেপির বিক্ষুব্ধরা আলোচনায় বসেন। অনেকে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং নানা অভিযোগ তুলে সরব হন। নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর ঘোষণায় বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছে। জীবনবাবু সুভাষ সরকারের বিরোধী হিসেবেই পরিচিতি। তিনি জেলা বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। রবিবারের আলোচনার পর তিনি নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াইয়ের কথা জানান। তাতে সম্মতি দেন অন্যান্য বিক্ষুব্ধরাও।
পাশাপাশি, স্বয়ং জীবন চক্রবর্তী বলেন, সুভাষ সরকার দলের কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বাঁকুড়া লোকসভার ছ’টি বিধানসভা এলাকা ঘুরেছেন তিনি। দলের বহু কর্মী নাকি তাঁকে জানিয়েছেন, সুভাষ সরকারকে ফের প্রার্থী হিসেবে কর্মীরাই মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা জীবনবাবুকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বাঁকুড়া লোকসভায় দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। সেই মতো নির্দল হিসেবে ভোটে লড়বেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, তিনি ভোটে দাঁড়ালে সুভাষবাবুর চেয়ে অন্তত একটি হলেও ভোট বেশি পাবেন। যাঁরা সুভাষ সরকারকে প্রার্থী হিসেবে চান না তিনি তাঁদের প্রার্থী। তাঁর হুঁশিয়ারি শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পরিবর্তন হলে, তিনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়াবেন। বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রীর সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার অসন্তোষ ঘনীভূত হয়েছে। দলীয় পার্টি অফিসে তাঁকে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল কর্মীদের একাংশ। অন্যান্য ব্লক এলাকাতেও হয়েছে আন্দোলন। আর এবার সুভাষ প্রার্থী হতেই নির্দল হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন খোদ বিজেপির প্ৰাক্তন জেলাস্তরের নেতা। স্বাভাবিকভাবেই ঘুম উড়েছে পদ্ম-নেতৃত্বের।