মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। কয়েক মাস আগেই দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার রাজ্যে ফিরে রাজভবন সংলগ্ন এলাকাতেও চলে ধরনা। সম্প্রতি রেড রোডে ধরনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকার নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন।
সোমবার ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফক্কোরেরহাট এলাকায় প্রচারে যান বরেনচন্দ্র। সেখানেই বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে শীতলকুচি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপি বিধায়ক জানান, তিনি এক কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন দেখা করতে আসেন। এরই মাঝে কয়েকজন ১০০ দিনের টাকার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার তৃণমূল চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘তিনি (বরেনচন্দ্র বর্মন) শিক্ষক হিসেবে যোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। তিনি নিজে রাজবংশী সমাজের মানুষ হয়েও কখনও পঞ্চানন বর্মার বাড়ি সংস্কারের দাবি তোলেননি। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায়, যতটা পরিচিতি পাওয়া উচিত তা পাননি। মানুষ ১০০ দিনের কাজের টাকা পায়নি। মানুষ তো বিধায়ককেই বলবে। যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের কোনও রং নেই। তাঁরা শ্রমজীবী মানুষ। মানুষ টাকা পায়নি, তাই তার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।’