আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। সরগরম রাজনীতির আবহ। বাংলায় ভোটের ফলাফল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শাসকদল তৃণমূল। রবিবার দুপুরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লোকসভা আসন প্রাপ্তি নিয়ে পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তৃণমূল নেতা লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে এবার বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ৩০ থেকে ৩৫ আসন পাবে, সংখ্যা বাড়তে পারে। ভোট শতাংশে গড়ে ৫৮ থেকে ৬২ শতাংশ ভোট তৃণমূলের। বিজেপির ভোট % কমবেশি ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ। আসন পাঁচ থেকে ১১-এর মধ্যে। বাম এবং কংগ্রেসের আসন ০। ২৪/০৩/২৪ –এর পরিস্থিতি অনুযায়ী।” অন্যদিকে সম্প্রতি এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে আসন সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
উল্লেখ্য, সেখানে ডায়মন্ডহারবারের প্রার্থী বলেছেন, “এই বিষয়টি মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক। আমি কোনও জ্যোতিষী নই যে ২০০ আসনের কথা বলে ৭৭ আসনে আটকে যাব। তাই মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়া যাক। তবে আমার দাবি, ২০১৯ সালের নিরিখে এবার নির্বাচনে আসন এবং ভোটের হার বাড়বে তৃণমূল কংগ্রেসের।” তারপর কুণালের এই দাবি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এবারের প্রার্থী তালিকায় নবীন প্রজন্মের নেতা-নেত্রীদের প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার সঙ্গে চমকও রয়েছে। সেখানে এখনও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি বিজেপি। এই নিয়ে কটাক্ষও করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, আজ রবিবার বিকেলে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে বিজেপি। ইতিমধ্যেই ১৯ জনের প্রার্থীর নাম জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। বাকি রয়েছে ২৩ জনের নাম। আর তা প্রকাশ পেলেই সরগরম হয়ে উঠবে ভোট যুদ্ধ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ১৮টি আসন পায়। পরে অবশ্য দু’জন ফিরে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় পদ্মশিবিরের।