লোকসভা নির্বাচনের প্রাকলগ্নে আরও একবার মোদী সরকার তথা বিজেপিকে কড়া আক্রমণে বিঁধল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার দেশের কর্মসংস্থান নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলেন থেকে মোদী সরকারকে একহাত নিল ঘাসফুল শিবির। দলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ ও শান্তনু সেন। তৃণমূলের বক্তব্য, বছর দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন মোদী। ইস্তাহারে বলা হয়েছিল পঁচিশ কোটি চাকরি দেবে বিজেপি সরকার কিন্তু তা হয়নি। উল্টে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। খোদ মোদী স্বীকার করেছেন ২০১৪ থেকে ২০২৩-র ডিসেম্বর অবধি মাত্র ১.২ কোটি চাকরি হয়েছে। লাগাতার বেড়ে চলেছে কর্মী সংকোচন, বেতন সংকোচন এবং কর্মী ছাঁটাই। ২০-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪৫% বেকার। দেশের ৪২% স্নাতক বেকার। অন্যদিকে, বাংলায় দু’কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে। বাংলার বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে কম, এদিক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে জানানো হয়ে সেই তথ্যও।
এরই পাশাপাশি ইডি, সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তৃণমূল। তৃণমূলের মতে, ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর, এনআইএ-র মতো সংস্থাগুলোকে বিজেপি ব্যবহার করছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি জেনে গিয়েছে তাদের আর ক্ষমতায় ফেরা হচ্ছে না, তাই মরিয়া হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে। মহুয়া মৈত্র মোদী সরকার ও বিজেপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলতেন, তাই তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে। পাশাপাশি ইডি, সিবিআইকে বিজেপির নির্বাচনী বন্ড সংগ্রহের অস্ত্র বলেও কটাক্ষ করা হয়, এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে। তৃণমূল তরফে জানানো হয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তারা ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে। তবে বাংলায় কংগ্রেস এবং সিপিএমকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।