দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব পিছু ছাড়ছে না গেরুয়াশিবিরের। ভোট ক্রমশ এগিয়ে আসছে। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দিয়েছে কমিশন। তবুও বিজেপি সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে উঠতে পারেনি। কিছুদিন আগে ২০ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি। তারপর আসানসোল থেকে প্রার্থী হতে না চেয়ে সরে দাঁড়ান পবন সিং। সেক্ষেত্রে প্রার্থী তালিকা দাঁড়ায় ১৯ জনের। এখন ২৩ জনের নাম ঘোষণা করতে হবে বিজেপিকে। নয়াদিল্লিতে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ঐক্যমত্যে আসা যাচ্ছে না। দলছে মুষলপর্ব বলে সূত্রের খবর। এই আবহে এবার বিজেপির বিদায়ী সাংসদের নামে পড়ল নিখোঁজ পোস্টার পড়ল! ‘সন্ধান চাই! সন্ধান চাই! নিখোঁজ জয়ন্তকুমার রায়’, এমপই পোস্টার পড়েছে ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এমন পোস্টার দেখতে পেয়ে তা নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন। কে লাগাল এই পোস্টার? কোথায় গেলেন জয়ন্তকুমার রায়? প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। কারণ ময়নাগুড়ির হাতিরবাড়ি, বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকা, দক্ষিণ খাগড়াবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহরের শান্তিপাড়া, নীচমাঠ রাস্তার পাশে, বিদ্যুতের খুঁটিতে গতকাল শুক্রবার এই পোস্টার দেখা যায়। সেই পোস্টারে লেখা আছে, “শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালের ২৯ মে। লাটাগুড়িতে। পরনে গেরুয়া কুর্তা এবং কালো ফ্রেমের চশমা।”
স্বাভাবিকভাবেই, এই পোস্টার পড়তেই উঠেছে হাসির রোল। সকাল থেকে এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় চর্চা তুঙ্গে। জয়ন্তকুমার রায় জলপাইগুড়ির বিদায়ী বিজেপি সাংসদ। এবার অবশ্য এই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। সুতরাং তাঁর ভাগ্যে শিঁকে ছিঁড়বে কিনা সেটা সময়ই বলবে। জয়ন্তকুমার রায় দাবি করেছেন, “আমি তো জলপাইগুড়িতেই আছি। নানা জায়গায় দলীয় কর্মসূচিতে যাচ্ছি। যাঁরা মনে করছেন, আমি নিখোঁজ, তাঁরা থানায় গিয়ে ডায়েরি করুন।” এমন পোস্টার নিয়ে বিজেপির অভিযোগ, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত। তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা জানিয়েছে, পোস্টারের বিষয়ে দলের কেউ জড়িত নয়। তবে এমন পোস্টারে যে খুব ক্ষুব্ধ হয়েছেন জয়ন্তবাবু, সেটা তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, “আমাদের কর্মীরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। কারও পোস্টার সাঁটানোর মতো সময় নেই। সাধারণ মানুষ সাংসদকে কাছে পাননি বলেই হয়তো কেউ পোস্টার মেরেছেন। আমরা প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়কে নিয়ে এখন প্রচারে ব্যস্ত থাকছি। আমাদের প্রার্থী শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা করেন।” বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মহুয়াদেবী।