লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ফুটে উঠেছে মোদী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার চিত্র। সম্প্রতিই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের বিরোধী রাজনীতিকরা। গ্রেফতারি নিয়ে সরব জার্মানিও। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে জার্মানির বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার মন্তব্য করেছিল, “আশাকরি বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এই ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হবে।” স্বভাবতই এমন প্রতিক্রিয়া কূটনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী।
উল্লেখ্য, জার্মান বিদেশমন্ত্রকের এই প্রতিক্রিয়ার কারণে, শনিবার নয়াদিল্লীতে কর্মরত জামার্নির ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রক ডেকে তীর্ব্র ভৎসর্না করে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা নয়াদিল্লী বরদাস্ত করবে না বলেও জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের প্রতিবাদের কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য, জার্মানির এই প্রতিক্রিয়া ভারতের আইন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সেই কারণে নয়াদিল্লী কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। কয়েকদিন আগেই সিএএ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতেও বেজায় গোঁসা হয়েছিল মোদী সরকারের।