গত শনিবার দেশে ভোট ঘোষণার পর সোমবারই নির্বাচন কমিশনের তরফে একাধিক রাজ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপি-সহ একাধিক আমলাকে বদলি করার নোটিস জারি করা হয়েছে। কোপ পড়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি, দক্ষ অফিসার রাজীব কুমারের ওপর। তাঁকে ডিজিপি পদ থেকে সরিয়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল করা হয়েছে। এবার চার জন জেলাশাসককেও অপসারণ করল কমিশন। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূমের জেলাশাসককে একসঙ্গে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ভবিষ্যতে এই সংখ্যাটা বাড়তে পারে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
গত শনিবার, ১৬ মার্চ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষিত হওয়ার পর পরই নির্বাচন কমিশন একের পর শীর্ষস্থানীয় আমলা, পুলিশকর্তাকে বদলির নির্দেশ জারি করছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনের অভিযোগ, ‘কেন্দ্রের শাসক দল নির্বাচন কমিশনকে করায়ত্ত করে ফেলেছে। স্বাধীন ভারতে এই ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। বিজেপির সদর দপ্তরে পরিণত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি যা চাইছে, কমিশনের সিদ্ধান্তে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সেই কারণেই আমরা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে লোকসভা ভোট চাইছি।’