তিনি বিজেপি সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সদস্যও। সেই শান্তনু ঠাকুরই কি না ভারতের নাগরিক নন! হ্যাঁ, প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে কার্যত একথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বয়ং। বনগাঁ বাটার মোড়ের দলীয় সভামঞ্চে বলেছেন, সিএএ-র অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাব। আর তাতেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। আসন্ন লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রে পদ্মপার্টি ফের প্রার্থী করেছে শান্তনুবাবুকে। আইন অনুযায়ী সেটাই বা কীভাবে সম্ভব? সেই প্রশ্নই তুলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুরের বক্তব্য, নাগরিকত্বের আর্জি জানানো মানে উনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী! একজন ‘বিদেশি’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান কী করে?
গত বিধানসভা ভোট পর্বে তৃণমূলের পক্ষে প্রচার করে নির্বাচন কমিশনের রোষানলে পড়েছিলেন জনপ্রিয় বাংলাদেশী অভিনেতা ফিরদৌস। তারপর থেকে এদেশের চলচ্চিত্র মহলে কার্যত ‘ব্রাত্য’ হয়ে রয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তি নিজেকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিতে চলেছেন, তিনি কীসের ভিত্তিতে লোকসভা নির্বাচন লড়ে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান? এই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলেরও। সিএএ-র ‘উপযোগিতা’ বোঝাতে হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারও ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার কথা ঘোষণা করেছেন। ‘বিদেশি’ হয়ে তিনিই বা কীভাবে বিধানসভা নির্বাচনে লড়লেন, তা নিয়েও বাড়ছে ধন্দ।