দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। অবশেষে বিল থেকে আইনে পরিণত হওয়ার প্রায় সাড়ে চার বছর পরে সোমবার দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) জারি করার কথা জানিয়েছে তারা। যা নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। শুধু তাই নয়। ভারতে সিএএ জারি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকাও। কীভাবে এই আইন প্রণয়ন করা হবে, তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এবার সিএএ লাগু করার সময় নিয়ে আপত্তি ও প্রশ্ন তুলল আমেরিকা।
প্রসঙ্গত, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কীভাবে বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি অন্য মনোভাব নিয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল মার্কিন প্রশাসন। এই আইন ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর কী প্রভাবে ফেলছে তার ওপর নজরদারির দাবি জানানো হয়। একধাপ এগিয়ে মার্কিন বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত বিষয়ের সেনেটর বেন কার্ডিন সিএএ লাগু নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে পবিত্র রমজান মাসে এই আইনটি বলবৎ করায়। ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক যত গভীর হচ্ছে, তত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সব ধর্ম নির্বিশেষে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি, যে ধরনের মূল্যবোধ আমাদের আদানপ্রদানের ভিত্তিকে মজবুত করেছে।