ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে ৪২ জনের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে স্নায়ুযুদ্ধে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। যেখানে প্রথম দফায় রাজ্যের ২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর কোনও উচ্চবাচ্যই করছে না গেরুয়া শিবির। তৃণমূল সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার পর দুই সপ্তাহ হতে চলল— দ্বিতীয় দফার তালিকা আসেনি তাদের। আসলে প্রার্থী বাছাই নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্তরে চরম মতানৈক্য চলছে। বিভিন্ন আসনে একাধিক নাম দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারদের আলাদা পছন্দের প্রার্থীদের নাম রয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। আর সেখান থেকে একজনকে চূড়ান্ত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতাদের। ফলে বাকি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে। বহু আসনেই হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে বিজেপির নেতা-কর্মীদের।
ঘোষণা না হওয়া আসনগুলির মধ্যে জোর জল্পনা ও প্রশ্ন, বিজেপির দ্বিতীয় তালিকায় মেদিনীপুর আসনে দিলীপ ঘোষের নাম কি থাকবে? দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কি টিকিট পাচ্ছেন? এটা নিয়েই আলোচনা চলছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। প্রায় গত সপ্তাহ পর্যন্ত মেদিনীপুরে নিজের কেন্দ্রে টানা কর্মসূচি করছিলেন বিদায়ী সাংসদ। কিন্তু গত ১৫ মার্চ থেকে আর মেদিনীপুরমুখী হচ্ছেন না দিলীপ। দলের অন্দরেই জল্পনা, এবার মেদিনীপুরে তাঁকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকে দাঁড় করাতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, দলের মধ্যে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীরাই চাইছেন না মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করতে। আর এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরে কার্যত হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন দিলীপ-ঘনিষ্ঠরা।