আর বেশি দেরি নেই। সামনেই লোকসভা নির্বাচন দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়ে গিয়েছে নির্ঘণ্ট। তবে কিন্তু ভোটার কার্ড পেলেন না এখনও ১০ শতাংশ ভোটার। গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ই মার্চ পর্যন্ত খোদ সিইও অফিসের তথ্য এমনটাই বলছে। কমিশন সূত্রে খবর, ২৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ১১৭টি ভোটার কার্ড ছাপার অর্ডার দেওয়া হয়। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৪৬ জনকে ভোটার কার্ড দেওয়া হলেও এখনও বাকিদের হাতে পৌঁছায়নি ভোটার কার্ড। যার মধ্যে শুধুমাত্র বুকিংয়ের জন্য অর্থাৎ ভোটার কার্ড পোস্ট অফিস মারফত বুকিং-এর জন্য পৌঁছায়নি ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯১০ টি, বুকিং হয়ে গেলেও ভোটার কার্ড পৌঁছায়নি ৫২,৮৫২ টি। কমিশন সূত্রে খবর, এর মধ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভোটার কার্ড না পাওয়ার সংখ্যাই অধিক।
প্রসঙ্গত, সিইও দফতরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বিভিন্ন জেলাগুলোতে এই তথ্য পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গাইডলাইন মেনে। কমিশন সূত্রে খবর, এর মধ্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শুধুমাত্র ৮,৫৪৩ টি ভোটার কার্ড বুকিং-এর জন্য পাঠানো যায়নি। অন্যদিকে নদিয়া জেলায় ২৭,৮৪৬টি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৩৭,৭৭৭টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১৫,৬০৮টি, হাওড়া জেলায় ১৯,৪৪১ টি, হুগলি জেলায় ২৯,৩০৬টি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১১,২৫৭টি এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৫,৯০৮টি ভোটার কার্ড পাঠানো যায়নি শুধুমাত্র বুকিংয়ের জন্য। যদিও গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত এই তথ্য দেওয়া হয়েছে জেলাগুলোতে। সেক্ষেত্রে গত কয়েকদিনে এই সংখ্যা আরও কমতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলাগুলোকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন রাজ্য কমিশনের সিইও। সেই বৈঠকেই যাতে দ্রুত ভোটারদের কাছে ভোটার কার্ড পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার তৎপরতাও শুরু করেছে একাধিক জেলা, এমনই জানিয়েছে কমিশন সূত্র।