মাঝেমধ্যেই কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। অথচ দেখা যাচ্ছে, লোকসভা ভোটের আগে বেছে বেছে সেই পরিবারগুলোর দিকেই হাত বাড়িয়েছে বিজেপি। তাঁদের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে। অনেক রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের অবস্থা থেকে বহু দূরে ছিল। কিন্তু, একের পর এক আঞ্চলিক দলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপি সেখানে ক্ষমতায় এসেছে। যার মূলে রয়েছে পরিবারবাদী শক্তির বৃদ্ধি। ২০১৯ সালের পর থেকে বিহারে পাসোয়ান, হরিয়ানায় চৌতালা এবং মহারাষ্ট্রে পাওয়ার পরিবারে ভাঙন ধরেছে। ভাঙন ধরা পরিবারের অধিকাংশই বিজেপিতে ভিড়েছে। হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে এই ভাঙন ধরা পরিবারের হাত ধরেই রাজ্যে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে বিজেপি।
সম্প্রতি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের পুত্রবধূ সীতা সোরেনকেই দলে টেনেছেন মোদী-শাহরা। যা আসন্ন লোকসভার লড়াইয়ে যথেষ্ট বেগ দেবে জেএমএমকে। উল্লেখ্য, সীতা সোরেনের আগে এই রাজ্যে বিজেপির মুখ হিসেবে কাউকে তুলে ধরা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। বিশেষত এই রাজ্যে এই বছরের শেষেই হতে চলেছে বিধানসভার ভোট। ফলে সীতাকে হাতে পেয়ে বিজেপি তাঁকে প্রচারের অথবা প্রার্থী করে কাজে লাগাতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর কয়েকমাস পর তাঁর দল এলজেপিতে ভাঙন ধরে। তাঁর ভাই পশুপতিকুমার পরস এবং ভাগ্নে প্রিন্স রাজ চার সাংসদকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন। সেখানেও বিজেপির প্রচ্ছন্ন হাত ছিল। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের দিকে পরিবারবাদের তির শানালেও গেরুয়া শিবিরও বারবার পরিবারে ভাঙন ধরিয়ে ফায়দা তুলেছে।