বঙ্গ বিজেপি শিবির যেন ক্রমশই অপরাধীদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে! সম্প্রতি রাজ্যের ২০ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। আর তাঁদের মধ্যে দশজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে অজস্র ফৌজদারি মামলা!
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি এখন মোদীর পরিবার হয়ে উঠেছে। নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করেন কর্মী, বিজেপির সব্বাই সমাজ মাধ্যমে নিজেদের অ্যাকাউন্টের পাশে মোদীর পরিবার লিখছেন। আর সেই পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। ফৌজদারি মামলার সেসব তথ্য হাজির করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বাংলার ১০ বিজেপি প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে তৃণমূলের দাবি, ২৩৮টি মামলা রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এক্স হ্যান্ডেলে মঙ্গলবার তৃণমূল জানিয়েছে, ৫০ শতাংশ বিজেপি প্রার্থীর ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে। শীর্ষে রয়েছেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলা রয়েছে।
মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য তথা কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের নামে রয়েছে ৪৪টি অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে রয়েছে ৩৮টি অভিযোগ। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে রয়েছে ১৮টি অভিযোগ।
মুর্শিদাবাদের প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে ২৩টি, মালদহ উত্তরের খগেন মুর্মুর নামে ১৬, ঘাটালের হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের চারটি, বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে সৌমিত্র খানের বিরুদ্ধে ২২টি, পুরুলিয়ায় জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর বিরুদ্ধে ১৩টি, মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর নামে রয়েছে একটি অভিযোগ।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রার্থীদের নামে যা অভিযোগ রয়েছে, তা সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে। ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও, কেন সেই ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হল, তার পক্ষে যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। এরপরই বিজেপি প্রার্থীদের অভিযোগের খতিয়ান প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের আগের হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে।