মুখ্যমন্ত্রী পদে যোগী আদিত্যনাথকে বেছে নেওয়ার পর থেকেই নানা ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলা শুরু করেন তিনি। কৃষক আন্দোলন থেকে বেকারত্ব, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি এবং কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে বারে বারে মুখ খুলে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। এবার তাই বিজেপি আর সেই বরুণ গান্ধীকে প্রার্থী করছে না বলেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের আশিটি আসনের বেশিরভাগ কেন্দ্রের প্রার্থী প্রথম দু-দফার তালিকায় ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাতে প্রকাশ করা হয়নি পিলভিটের প্রার্থীর নাম। যোগী রাজ্যে জোর জল্পনা, বিজেপি শেষ পর্যন্ত পিলভিটের সাংসদকে বরুণকে প্রার্থী না করলে তিনিও দলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেন।
বিরোধী শিবির সূত্রের খবর, সেক্ষেত্রে বরুণ অমেঠি থেকে নির্দল প্রার্থী হতে পারেন। জানা যাচ্ছ, সেক্ষেত্রে বরুণকে সমর্থন করতে পারে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি। প্রসঙ্গত, প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় গান্ধীর পুত্র বরুণ একটা সময় উত্তর প্রদেশের বিজেপির প্রভাবশালী মুখ ছিলেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার পরিকলপনাও ছিল রাজ্য বিজেপির একাংশের। কিন্তু গান্ধী পরিবারের সদস্য বরুণকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চাননি নরেন্দ্র মোদী। মোদীর যুক্তি ছিল গান্ধী পরিবার এতে বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে যাবে। বিজেপি কোনও পারিবারিক পরিচয়কে বাড়তি গুরুত্ব দেবে না।
উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলের খবর, অমেঠি, রায়বেরলিতে এবার গান্ধী পরিবারের কেউ প্রার্থী হচ্ছেন না। রায়বেরলির সাংসদ সনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছিল রায়বেরলি ও অমেঠি থেকে লড়াই করতে পারেন প্রিয়াঙ্কা, রাহুলরা। কিন্তু সর্বশেষ খবর হল, ভাইবোনের মধ্যে কেউই উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে গান্ধী পরিবারের আর এক সদস্য বরুণ কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে দুকূলই রক্ষা হয়। বিজেপিকে শক্ত লড়াইয়ের মুখে মুখে ফেলা সম্ভব। আবার গান্ধী পরিবারের সদস্য লড়াইয়ে রইলেন।
সূত্রের খবর, দিদি প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বরুণের যোগাযোগ আছে। কথা হয় দাদা রাহুলের সঙ্গেও। রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রার সময় আলোচনা শুরু হয়েছিল বরুণ কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু রাহুল সেই প্রস্তাবে সায় দেননি। তাঁর বক্তব্য ছিল বরুণ নীতিগতভাবে বিজেপির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কংগ্রেসের রাজনীতি বিজেপির বিপরীত। তাই ভাই বলেই তাঁকে কংগ্রেসে আহ্বান জানাতে পারি না। তবে বরুণ নির্দল প্রার্থী হলে রাহুল কী অবস্থান নেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। বরুণকে বিজেপি টিকিট না দিলে তাঁকে অমেঠি থেকে নির্দল প্রার্থী করার ভাবনা সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশের।