প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আগেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। সোমবার মোদী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন এক অভিযোগ জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এ বারের অভিযোগ, সরকারি অর্থ খরচ করে ভোটের প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দল।
কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে তৃণমূল লিখেছে, গত ১৫ মার্চ ‘আমার প্রিয় পরিবারবর্গ’ বলে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে গত এক দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং প্রকল্পের কথা রয়েছে। হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে গোটা দেশের জনগণের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ওই বার্তা। কিন্তু সেই বার্তার একটি অংশে লেখা ছিল ‘এই চিঠিটি পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। গত ১০ বছরে ভারতের ১৪০ কোটির বেশি জনগণ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। আগামীতেও তাঁরা উপকৃত হবেন।’
তৃণমূলের যুক্তি, মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকার এই চিঠি পাঠাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নিজে বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই এটা স্পষ্ট যে সরকারি অর্থকে ব্যবহার করে ভোটের আগে সরকারি প্রকল্পের প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি।
সোমবার কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণার পর ওই বার্তা হোয়াট্সঅ্যাপে ছড়ানো স্পষ্টতই নির্বাচনী আদর্শ বিধি ভঙ্গের উদাহরণ। রাজনৈতিক প্রচারে সরকারি অর্থ এবং পদ ব্যবহার করা সমীচীন নয়। তাই কমিশন মোদী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক। সংশ্লিষ্ট চিঠিতে তৃণমূলের তরফে সই রয়েছে তাদের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক’ও ব্রায়েনের। চিঠির শেষে সংশ্লিষ্ট হোয়াট্সঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশটও কমিশনকে পাঠিয়েছে তৃণমূল।
আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে এ নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনল তৃণমূল। এর আগে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে চড়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচার করেছেন বলে অভিযোগ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।