জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) থেকে পাঁচ লাখ বাঙালি হিন্দুর নাম কাটা গিয়েছে। স্বীকার করে নিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। একটি সাক্ষাৎকারে আসামের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে শুধু পাঁচ লাখ বাঙালি হিন্দু নন, এনআরসি থেকে কাটা গিয়েছে দু’লাখ অসমিয়া এবং ১.৫ লাখ গোর্খার নামও।
তাঁদের মধ্যে মাত্র তিন থেকে ছয় লাখ মানুষ নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ কমপক্ষে ২.৫ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য তাঁদের কাছে নথি আছে। সেইমতো নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করার পরিবর্তে তাঁদের ফরেনার্স ট্রাইবুনালের দরজার কড়া নাড়তে হবে।
হিমন্ত দাবি করেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের (বৈধভাবে শরণার্থী হিসেবে অসমে আশ্রয় নেওয়ার ডেডলাইন) পরও বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিবার আসামে ঢুকে এসেছিল। অধিকাংশ পরিবারই বাঙালি হিন্দু ছিল। কোনও-কোনও পরিবার আবার বাংলাদেশে ফিরেও গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সেইসময় অনেক পরিবারকেই রেশন কার্ড দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ওদের কাছে স্রেফ একটিই নথি ছিল – সীমান্ত কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। কিন্তু এনআরসির আপডেট করার প্রক্রিয়ায় ওই কার্ডকে ছাড়পত্র দেননি প্রতীক হাজেলা (এনআরসির প্রাক্তন রাজ্য সমন্বয়কারী)। সেজন্যই এত নাম বাদ পড়েছে।’