গত শনিবারই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তার পরদিনই ভোটপ্রচারে নেমে পড়ল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতৃত্ব। হাতে হাত মিলিয়ে মোদীকে দিল্লির মসনদ থেকে হঠানোর আহ্বান জানালেন সকলে।
রবিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে হাজির ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও কর্মসমিতির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন তামিলনাড়ু ও ঝাড়খণ্ডের দুই মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, চম্পাই সোরেন, এনসিপি (এসপি) নেতা শরদ পাওয়ার, শিবসেনার (ইউবিটি) উদ্ধব ঠাকরে, আরজেডির তেজস্বী যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, পিডিপির মেহবুবা মুফতি, সিপিআই(এমএল)-এর দীপঙ্কর ভট্টাচার্য , সৌরভ ভরদ্বাজ-সহ প্রায় গোটা বিরোধী শিবির।
এঁদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই ইভিএমে কারচুপি না করে বিজেপি নির্বাচনে জিততে পারবে না বলে কটাক্ষ করেন। মোদীর নাম না করে রাহুল বলেন, ‘উনি হলেন সেই রাজা, যার প্রাণভোমরা ইভিএম।’ তিনি আরও বলেন, ‘উনি সমুদ্রের নিচে ডুব দিচ্ছেন, কখনও অন্য কোনও স্টান্ট। তবে কোনওটাই নিজে থেকে নয়। উনি তো শুধুমাত্র অভিনেতা। পরিচালক অন্য কেউ।’ অন্যদিকে, খাড়গে বলেন, ‘থেকে থেকে খালি গ্যারান্টি গ্যারান্টি। এতটাই ঔদ্ধত্য যে বিজেপির গ্যারান্টিও বলে না। শুধু নিজের নাম। ওঁর এই গ্যারান্টি মনুবাদের গ্যারান্টি। বড়লোকদের জন্য গ্যারান্টি। সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই।’
ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন বলেন, ‘যাত্রায় এত লোক দেখে বিজেপির ঘুম উড়ে গেছে। আজ যাত্রা মুম্বই এল। শীঘ্র দিল্লি পৌঁছবে।’ ফারুক আবদুল্লা বলেন, ‘দিল্লিতে বসে ভারতের আসল ছবি দেখা যায় না। তার জন্য গ্রামেগঞ্জে যেতে হয়। রাহুল গান্ধী সেটা করেছেন। দেশের আসল ছবি দেখেছেন।’ মেহবুবা মুফতি কটাক্ষ করে বলেন, ‘মহাত্মা থেকে শুরু করে রাজীব। গান্ধীরা নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশ রক্ষা করেছে। তাই বিজেপি গান্ধী পদবীকে ভয় পায়।’ উদ্ধব ঠাকরে মনে করিয়ে দেন, ‘দেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব। তাই দেশ বাঁচাতে হবে।’