অবসান এল দীর্ঘ প্রতীক্ষার। অবশেষে আইপিএল খেতাব এল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ঘরে। গত বছর থেকে শুরু হওয়া মেয়েদের আইপিএল (উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ) জিতে নিল আরসিবি। ফাইনালে দিল্লী ক্যাপিটালসকে হারিয়ে দিল তারা। রবিবার প্রথমে ব্যাট করে দিল্লী। শেফালি বর্মা যে গতিতে শুরু করেছিলেন, তাতে বড় রানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ৭ ওভারে ৬৪ রান তুলে। নিয়েছিল দিল্লী। অষ্টম ওভারে বল করতে আসেন সোফি মলিনক্স। ওই ওভারেই খেলা ঘুরে যায়। প্রথম বলে শেফালি আউট হয়ে যান। তৃতীয় বলে আউট জেমাইমা রদ্রিগেজ। চতুর্থ বলে বোল্ড এলিস ক্যাপ্সি। এক ওভারে তিন উইকেট তুলে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন মলিনক্স। ওই ধাক্কা সামলাতে পারেনি দিল্লী। তার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। অল আউট হয়ে যায় ১১৩ রানে। সোফি ছাড়াও নজর কাড়েন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। একাই ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। ২ উইকেট নেন আশা সোভানা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মন্ধানা (৩১) এবং সোফি ডিভাইন (৩২) মিলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। হাতে ৮ উইকেট থাকলেও বড় শট খেলতে পারলেন না এলিস পেরি এবং রিচা ঘোষ। শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেলেন তাঁরা ম্যাচটিকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আরসিবি-র প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তিন বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেন মন্ধানারা। এ বারের প্রতিযোগিতায় নজর কাড়লেন বাংলার রিচা। ১০ ম্যাচে ২৫৭ রান করলেন তিনি। প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি রান যদিও করেন এলিস পেরি। ৯ ম্যাচে ৩৪৭ রান করেন তিনি। স্মৃতি মন্ধানা ১০ ম্যাচে করেন ৩০০ রান। তাঁরা সকলেই আরসিবি-র ক্রিকেটার। তাঁদের দাপটেই ট্রফি জিতল ব্যাঙ্গালোর। শুধু ব্যাটে নয়, বল হাতেও দাপট আরসিবি-র। শ্রেয়াঙ্কা নেন ১৩ উইকেট। ২১ বছরের তরুণ স্পিনার ফাইনালেই নেন ৪ উইকেট। ম্যাচের সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মলিনক্স। সিরিজ সেরার শিরোপা উঠেছে দীপ্তি শর্মার মাথায়।