রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবালে রবিবার নির্বাচনী বন্ডের তথ্য পেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে এটি কেবল একটি ‘পরীক্ষা’, সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘যখন কোনও নতুন বিষয় আসে তখন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়’। হোসাবালে’র মতে, নির্বাচনী বন্ডগুলি “চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ দিয়ে করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এমন নয় যে আজ হঠাৎ করে নির্বাচনী বন্ড চালু করা হয়েছে, এটা (এই ধরনের প্রকল্প) আগেও আনা হয়েছিল। যখনই কোনও পরিবর্তন আনা হয়, তখনই প্রশ্ন তোলা হয়। প্রশ্ন উঠেছিল, ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) চালুর সময়ও… এটা স্বাভাবিক,’ আরএসএসের ‘সরকারাভা’ (সাধারণ সম্পাদক) পদে পুনর্নির্বাচিত হোসাবালে দিনের শুরুতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘… তবে নতুন ব্যবস্থা কতটা লাভজনক ও কার্যকর তা সময়ই বলে দেবে। তাই সঙ্ঘ মনে করছে, এটাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ছেড়ে দেওয়া উচিত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ করেছে। তথ্য অনুযায়ী, দাতাদের মধ্যে রয়েছে অনিল আগরওয়ালের বেদান্ত, আইটিসি, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, গ্রাসিম ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং, পিরামল এন্টারপ্রাইজ, টরেন্ট পাওয়ার, ভারতী এয়ারটেল, ডিএলএফ কমার্শিয়াল ডেভেলপার্স, অ্যাপোলো টায়ারস, লক্ষ্মী মিত্তল, এডেলউইস, পিভিআর, কেভেন্টার, সুলা ওয়াইন, ওয়েলস্পান এবং সান ফার্মা।