সাম্প্রতিককালে মারাঠা রাজনীতিতে নীতিন গাডকরিকে নিয়ে জোর জল্পনা এবং চর্চা শুরু হয়েছিল। বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। এই আবহে উদ্ধব ঠাকরে তাঁকে মহাবিকাশ অঘাড়ির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
এহেন নীতিন গডকরির নাম বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় ছিল। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কি গডকরির দূরত্ব বাড়ছে? এই জল্পনা রয়ে গিয়েছে। এককালে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন এই গডকরি। তবে মোদী-শাহ জুটি যেন এই বর্ষীয়ান নেতার গুরুত্ব ক্রমেই কমিয়ে দিয়েছে। এই আবহে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
লোকসভা ভোটে রামমন্দিরের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল গডকরিকে। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, রামমন্দিরের ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আমি ধর্ম ও জাতপাতের নিরিখে বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। এই মন্দির নির্মাণ নিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আমাদের ইস্তেহারেও এই ইস্যুটি ছিল। আমরা খুশি যে মানুষের ইচ্ছে পূরণ হয়েছে।’
এদিকে বিজেপির সংসদীয় বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি থেকে বাদ পড়া প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয়েছিল গডকরিকে। তা নিয়ে গডকরির সাফ বক্তব্য, ‘আমি ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদ নই। আমি বিশ্বাস করি রাজনীতি অর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের একটা মাধ্যম। এই আবহে কোনও পদের মোহ বা মায়া আমার নেই। আর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক বেশ ভালো।’
এদিকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে গডকরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আমি কোনওদিনই ছিলাম না। আমি আজ যা আছি, তা নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি বিশ্বাসের জোরে নেতা হয়েছি, অঙ্ক কষে নয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর অধীনে এনডিএ সরকার খুব ভালো কাজ করছে। আমরা নিশ্চিত যে আমরা আবার সরকার গঠন করব।’ অপরদিকে এটাই গডকরির অন্তিম নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিষয়। আমি আজও একজন স্বয়ংসেবক। আমি তৃণমূল স্তরে কাজ করি’।