সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। শনিবারই ঘোষিত হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। বাংলায় ৭ দফায় ভোট ঘোষণা করেছে কমিশন। ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। চলছে বাকযুদ্ধও। এবার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে কটাক্ষে বিঁধলেন শওকত মোল্লা। শনিবার, ভোটঘোষণার দিনই জয়নগর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সর্মথনে ক্যানিংয়ে একটি পথসভা করেন ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত। ওই সভা থেকেই নওশাদকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন তিনি। শওকত বলেন, “হেলে ধরে পারে না কেউটে ধরবে! বলে নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।” গতবছর আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি ঘোষণা করেন, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চান তিনি। তবে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে। তাঁর এই মন্তব্যের পরই বাংলার রাজনৈতিক মহলে ডায়মন্ড হারবার নিয়ে চড়তে থাকে পারদ।
উল্লেখ্য, সেই সময় নওশাদকে সর্মথন করেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল রাজনীতির পরিসরে। কিন্তু ভোটের মুখে হঠাৎই পিছু হটেছেন নওশাদ। আইএসএফ লোকসভায় যে কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থী দিতে চায় সেখানে নাম নেই ডায়মন্ড হারবারের। জয়নগরের এক সভা থেকে নওশাদ সিদ্দিকিকে সেই নিয়েই ব্যঙ্গ করলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। “গ্রামের দিকে একটা কথা আছে না হেলে ধরতে পারে না আবার কেউটে ধরবে। একটা বুথে জেতার যার ক্ষমতা নেই, কোনও রকম ভাবে ভোটে জিতেছে সে আবার বলছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বে। অভিষেক তো অনেক দূর ও এই দক্ষিণ ২৪ পরগণার যে কোনও লোকসভায় জিতে দেখাক। যেখানেই দাঁড়াক না কেন ল্যাজেগোবরে অবস্থা হবে। ও যে কথা বলেছিল তা পুরোপুরি গিমিক। প্রচারের থাকার চেষ্টা মাত্র”, নওশাদকে একহাত নিয়ে বক্তব্য শওকতের।