সিএএ আসলে ‘ভোট ব্যাঙ্কের খেলা’। এর ফলে বহিরাগতরা এসে দেশের নাগরিকদের চাকরিতে ভাগ বসাবে। এভাবেই বুধবাসরীয় সকালে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
ঠিক কী বলেছিলেন কেজরিওয়াল? তাঁকে এক ভিডিওয় বলতে শোনা গিয়েছে, ‘পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের দরজা খুলে দিল বিজেপি। এটা দেশের জন্য বিপজ্জনক। উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি, বিশেষত অসমকে এর মূল্য চোকাতে হবে। বাংলাদেশের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য আসাম বিপন্ন। বিজেপি সেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়। সরকারের টাকা ব্যবহৃত হবে ভারতে পাক নাগরিকদের থিতু করার কাজে। কে এই সব অনুপ্রবেশকারীদের চাকরি দেবে? অনেকেই বলছে এটা ভোটব্যাঙ্কের খেলা’।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগেই চালু হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। তার পর থেকে জাঁকিয়ে বসছে আতঙ্ক। বিবৃতি জারি করে অমিত শাহের মন্ত্রক জানিয়েছে, সিএএ কারোর নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়। এর প্রভাব ১৮ কোটি ভারতীয় মুসলিমের উপর পড়বে না। ভারতীয় হিন্দুদের মতোই সমস্ত অধিকার বজায় থাকবে তাদেরও। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কোনও নথিও তাদের দিতে হবে না। পাশাপাশি, এই আইন বিভাজনমূলক বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই অভিযোগকেও অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।