ক্রমশ এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। অপেক্ষা ছিল দিনক্ষণ ঘোষণা। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় দফার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ত্রিপুরা, দাদরা-নগর হাভেলি, দমন-দিউ, দিল্লী, গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ডের মোট ৭২ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে এই তালিকায়। তবে প্রথম প্রার্থিতালিকায় ১৯৫ জনের মধ্যে রাজ্যের ২০ জন ঠাঁই পেলেও বুধবার ঘোষিত হয়নি বাংলার কোনও প্রার্থীর নাম। প্রথম দফায় ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর উৎসাহ বেড়েছিল বিজেপি কর্মীদের। তৃণমূলের আগেই প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় ওই কেন্দ্রগুলিতে জোরকদমে প্রচারও শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার তিনদিন পরও দ্বিতীয় দফার তালিকা আসেনি বিজেপির। দ্বিতীয় তালিকা এখন প্রকাশ্যে না আসায় হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় দেওয়াল লেখা, প্রচারে নেমে পড়া এসব ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে গেরুয়াশিবির।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দ্বিতীয় দফার তালিকা ঘোষণায় এত দেরি কেন? সূত্রের দাবি, রাজ্যের দ্বিতীয় তালিকা নিয়ে এখনও বেশ কিছু চিন্তাভাবনার জায়গা রয়েছে গেরুয়াশিবিরের। একাধিক আসনে প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত করা যায়নি। হয়, ওই কেন্দ্রগুলিতে কাকে প্রার্থী করা হবে, সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নাহয় কিছু কিছু প্রার্থীর কেন্দ্র বাছাই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা মোটামুটি চূড়ান্ত। শুধু দু-একটি কেন্দ্র নিয়ে এখনও আলোচনার জায়গা রয়েছে। তাছাড়া সমস্যার আরও একটা জায়গা হল, অর্জুন সিং। তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপির অন্দরে এখনও মতান্তর রয়েছে। দলে নেওয়া হলেও তিনি নিজে প্রার্থী হবেন, নাকি তাঁর ছেলেকে টিকিট দেওয়া হবে সেটা নিয়েও সংশয় আছে। তাছাড়া কয়েকজন নেতাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তাঁদের কোন কেন্দ্রে প্রার্থী করা হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত নয়। স্বাভাবিকভাবেই মাথাব্যথা বেড়েছে পদ্ম-নেতৃত্বের। ভোটের আগে যা একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।