প্রতি বছর ১৪ মার্চ দিনটি নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করা হয়। নন্দীগ্রামের প্রতিটি শহিদকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রদ্ধা জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দিনটিকে ‘কৃষক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
এই উপলক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সকল কৃষকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখেন, ‘কৃষক দিবসে সকল কৃষক ভাইবোন ও তাঁদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামে কৃষিজমি আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর এই দিনটিকে আমরা ‘কৃষক দিবস’ হিসেবে পালন করি। আমাদের কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা, আমাদের গর্ব। তাঁদের প্রতিটি প্রয়োজনে আমরা তাঁদের পাশে থাকি। ‘কৃষকবন্ধু (নতুন)’ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি, শস্য বিমার যাবতীয় খরচ বহন করা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আর্থিক সহায়তা, কৃষকের অকাল মৃত্যুতে কৃষক পরিবারের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে কৃষক পেনশন প্রদান, ১৮৬টি ‘কিষাণ মান্ডি’ চালু করা থেকে শুরু করে বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্র প্রদান – সবকিছুই আমরা করেছি। আগামীদিনেও আমরা এভাবেই আমাদের কৃষকদের পাশে থাকবো।’
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কৃষকদের সহায়তা করছে, তাদের জন্য একাধিক প্রকল্প এনেছে, যার ফলে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে কৃষকের আত্মহত্যার হার আজ শূণ্য। অপর দিকে জাতীয় স্তরে কৃষক মৃত্যু বেড়েছে এবং কৃষকরা আজ পথে নেমে আন্দোলন করছে।