আগামী ১৫ তারিখ থেকে রাজ্য জুড়ে প্রচার অভিযান শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তফশিলি জাতি, উপজাতির নেতারা প্রচার গাড়ি নিয়ে এলাকায় এলাকায় প্রচারে যাবেন। প্রত্যেক এলাকায় ৩ থেকে ৫ হটস্পটে আলোচনা সভা হবে। একটা প্রচার পুস্তিকা করা হয়েছে। কীভাবে তৃণমূল কংগ্রেস রক্ষা করছে। বিজেপি কীভাবে অত্যাচার করছে, তার প্রচার চলবে। ৬০০০-এর বেশি এলাকায় যাবে। ৩,৫০০ জন নেতার টিম। সঙ্গে ১৫০ প্রচার গাড়ি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রচার অভিযান শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গলমহল এলাকায় আমরা ২০১৯ সালে হেরে যাই। প্রায় ১০,০০০ বেশি বুথ আছে। একটা জায়গা দেখান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ, স্বাস্থ্য মন্ত্রী মিটিং করতে এসেছেন। উত্তরবঙ্গে অমিত শাহ বলেছিলেন নারায়ণী সেনা হবে। কিছু করেছে কি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, পঞ্চানন ঠাকুর সবাইকে অপমান করা হয়েছে। বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে আছে। সেখানে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অত্যচার হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর NCRB রিপোর্ট জানিয়েছে বাংলা সুরক্ষিত। আদিবাসী বলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূকে পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, সংসদ ভবন উদ্বোধনে। প্রথমে সিএএ নিয়ে যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। ২০১৯ সালের পরে এটা ২০২৪ সাল। যেখানে রুল ফ্রেম করতে ১ থেকে দেড় মাস সময় লাগে। সেখানে ৫ বছর সময় লেগে গেল। যা তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে সুস্পষ্ট নির্দেশ নেই। ভোটের আগে নির্দেশিকা নেই। ভাবুন তো যদি ভোটের সাত দিন আগে আমরা একটা ফর্ম দিই, আর বলি ফর্ম ফিলআপ করে দিন। তারপর আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেব? আমরা ওদের মতো নয়। আমরা যা বলি তাই করি। আমরা বিজেপি নই। জঙ্গলমহল এলাকায় আমরা ২০১৯ সালে হেরে যাই। প্রায় ১০,০০০ বেশি বুথ আছে। একটা জায়গা দেখান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ, স্বাস্থ্য মন্ত্রী মিটিং করতে এসেছেন।’