লোকসভা নির্বাচন কার্যত দোরগোড়ায়। তবুও দুশ্চিন্তার অন্ত নেই বঙ্গ বিজেপির। কমছে না আভ্যন্তরীণ কলহের আঁচ। বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার পর প্রথম দফার প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় বোলপুর লোকসভায় প্রার্থী হয়েছেন পিয়া সাহা। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ভোটের মুখে বড় বড় নেতারা বলেন কর্মীরাই আসল সম্পদ। কিন্তু প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। প্রার্থী নিয়ে কর্মীদের ক্ষোভের মধ্যে তাঁর দল বিরোধী মন্তব্যে বিপাকে বোলপুর বিজেপি নেতৃত্ব। গত ২৬শে ডিসেম্বর বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় থাকাকালীন সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন অনুপম। তার পরেই কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ হারান তিনি। পদ হারানোর কয়েকদিন পরে তিনি বোলপুর লোকসভার প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেন নিজেকেই।
উল্লেখ্য, বাংলার যে ২০টি আসনে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে তাতে নাম নেই অনুপমের। বোলপুর আসনে দেওয়া হয়েছে অন্য প্রার্থী। তা নিয়ে বেশ জলঘোলা হচ্ছে ওই লোকসভা কেন্দ্রে। এমতাবস্থায় আবার মুখ খুলে বির্তকে জড়ালেন অনুপম। তাঁর সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইলে তিনি লেখেন, “ভোটের সময় বড় বড় নেতাদের মুখে একটা কথা খুব শোনা যায়, কর্মীরাই আসল সম্পদ। তাঁরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট করান। তবে প্রার্থী বাছাইয়ের সময় তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। বার বার ঠকতে ঠকতে পুরনো ডায়লগে কর্মীদের আর মন গলছে না।” প্রসঙ্গত, নিজেকে বোলপুরে প্রার্থী ঘোষণা করে অনুপম আগে বলেছিলেন, “লড়াইয়ের জন্য দলের দরকার পড়ে না। মানুষ আমাকে চাইছে। তাই আমি এখান থেকে লড়ব।” অনুপম হাজরার এই পোস্টের পর বিজেপির প্রার্থী বাছাই নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কর্মীদের মধ্যে। জল্পনাও ছড়াচ্ছে, তাহলে কি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটের ময়দানে নামবেন তিনি? অস্বস্তিতে গেরুয়া-নেতৃত্ব।
