সামনেই লোকসভা নির্বাচন দেশজুড়ে। আগেই পদত্যাগ করেছেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। গত আটই মার্চ নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেননি তিনি। এর আগে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি অবসর নিয়েছেন আর এক নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও কমিশনে থাকেন আরও দুই কমিশনার। কিন্তু একজনের অবসর ও আর এক জনের ইস্তফার ফলে কমিশনের তিন সদস্যের প্যানেলে এখন রয়েছেন শুধু মূখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতে চলেছে শীঘ্রই। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করছে। এরই মাঝে নির্বাচনি কর্মসূচি ঘোষণার ঠিক আগে অরুণ গোয়েলের হঠাৎ পদত্যাগের কারণ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জল্পনা।
স্বাভাবিকভাবেই, এমতাবস্থায় ফাঁকা দুই পদে কমিশনার নিয়োগের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বাছাই কমিটির এগিয়ে আনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দুই কমিশনারের নাম চূডান্ত করতে আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় ওই বৈঠক হতে পারে। এর আগে ওই বৈঠক আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ছ’টায় হবে বলে জানা গিয়েছিল। বৈঠকের সংশোধিত সূচি কমিটির সদস্যদের কাছে সোমবার সন্ধ্যাতেই আইন মন্ত্রক পাঠিয়েছে বলেও ওই সূত্রে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নতুন আইন অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কমিটির বেছে নেওয়া কমিশনারদের নিয়োগ করবেন।