প্রথম দফায় এ রাজ্যে বিজেপি ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে৷ তার মধ্যে বালুরঘাটের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের৷ যিনি বর্তমানে বালুরঘাটেরই সাংসদ৷ তবে সুকান্ত এবার নিজের কেন্দ্রে জয় নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন বলে কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কারণ, সোমবার বালুরঘাটে পা দিয়েই সুকান্ত বলেন, জেলার একমাত্র মন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে ইস্তফা দিয়ে ভোটে দাঁড়াতে হবে। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই, বিপ্লব মিত্র জিতে গেলেন। তাহলে কী হবে? দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে একমাত্র মন্ত্রী। সেই মন্ত্রীও গেল। কারণ, কেন্দ্রে তো মোদী সরকার হবে।
মন্ত্রী হওয়ার কোনও চান্স নেই। বিপ্লববাবুকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর জন্য তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। এই মন্তব্যেই সুকান্তের হারের গন্ধ পাচ্ছে দলীয় কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে শাসক শিবির। তৃণমূলের দাবি, বিপ্লবকে প্রার্থী করায় ভয় ধরে গিয়েছে বিজেপির অন্দরে। তাই সুকান্তের গলায় ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। তাঁর এমন মন্তব্যে প্রথম দিকে দলীয় কর্মীরাও ধন্দে পড়েন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, বিপ্লব মিত্র প্রার্থী হওয়ায় সুকান্তবাবু ভয় পাচ্ছেন। তিনি বুঝে গিয়েছেন হার নিশ্চিত। তাই মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর বিষয়ে ভাবছেন। বিপ্লববাবুর মন্ত্রিত্বের বিষয় আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রী ভাবছেন। সুকান্তকে ভাবতে হবে না।